সাতক্ষীরা:: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করেছে… দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে তার দল আওয়ামী লীগকে। এটি আসলে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম নয়। এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, ফ্যাসিস্ট সংগঠন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আতাউর বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর তারা ক্ষমতায় ছিল। তারা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের ছাত্ররা। শুধু ৫ আগস্ট নয়, অতীতে দেশের ও জনগণের পক্ষে যত পরিবর্তন হয়েছে, এর পেছনে ছিল ছাত্রদের বড় ভূমিকা। ভাষা আন্দোলন, গণ-আন্দোলন, মুক্তিযোদ্ধা, গণ-অভ্যুত্থানসহ অতীতে যত বড় বড় আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী সবকিছুতেই ছিল ছাত্রদের ভূমিকা। অতএব বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র রাজনীতি এটি একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের যে ঘটনাটি ঘটেছে, ইতিহাসে এমন ঘটনা খুবই কম ঘটে। গোটা দুনিয়ায় এমন ঘটনা বিরল। একটি সরকার সে নিজে পালিয়েছে, পাশাপাশি তার সাঙ্গপাঙ্গ সব পালিয়েছে, সব গর্তে লুকিয়েছে… এমন ঘটনা কিন্তু বিশ্বের বিরল। এটাও কিন্তু ঘটিয়েছে ছাত্ররা। ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর জন্য এক ঘণ্টাও সময় পাবে না, সে নিজেও এটা চিন্তা করেনি। সে পালিয়েছে, পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরাও পালিয়েছে। কেন পালিয়েছে? এর আগেও তো অনেক সরকারের পতন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানেও অনেকের পতন হয়েছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, আন্দোলন করে তারও পতন হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানে এরশাদেরও বিদায় হয়েছিল। এরশাদ সাহেব তো দেশ ছেড়ে পালায়নি, বেগম জিয়া তো দেশ ছেড়ে পালায়নি। তাদের (আ.লীগ) দেশ ছেড়ে পালাতে হলো কেন? কারণ হলো তারা এমন অপরাধ করেছে। তারা নিজেদের চেহারা মানুষকে দেখাবে এমন নৈতিক অবস্থানে ছিল না। তারা বিচারের মুখোমুখি হবে- এমন নৈতিক অবস্থান ও তাদের ছিল না। এ জন্য তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারা এখন বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুধু ইসলামপন্থিদের মাঝে ঐক্য থাকলে হবে না। যারা দেশকে ভালোবাসেন, সব রাজনৈতিক দলের প্রধানতম কাজ হলো- এই স্বৈরাচাররা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ।
এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য গবেষণা ও আইন সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এম.এ হাসিব গোলদার, মো. আব্দুল আজিজ নোমান, ইসলামী আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এ.কে.এম রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি, শেখ আব্দুর রাজাকসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।