সাতক্ষীরার খবর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিনোদনমূলক কাজে গাজার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। চলতি বছরের শেষ দিকে এটি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। তবে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেবে দেশটি। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চোলনান শ্রীকাউ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম চিকিৎসায় গাজা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ২০১৮ সালে দেশটি প্রথম এ অনুমোদন দেয়। এরপর ২০২২ সালে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্যও গাজার বৈধতা দেয় দেশটি। এর এক বছরের থাইল্যান্ডে গাজার জন্য ১২০ কোটি ডলারের শিল্প গড়ে ওঠে। তৈরি হয় গাজার হাজারও দোকান।
দেশটিতে গাজার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইনের খসড়া তৈরি করেছে সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি কার্যকর হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সংসদে পাস করার আগে বিলটি খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
বিনোদনমূলক ক্ষেত্রে গাজার ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইন না থাকলে অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুদের ওপরও পড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে তারা অন্যান্য নেশাদ্রব্যের দিকেও ঝুঁকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
থাইল্যান্ডে গত বছরের মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার গাঁজা ব্যবহারে সংসদে সমন্বিত আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছিল। তবে ওই সময়ের সরকার আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অবৈধভাবে পরিচালিত গাঁজার দোকানগুলোকে ব্যবস্যা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। বাড়িতে গাঁজা উৎপাদনও নিরুৎসাহিত করা হবে। দেশটিতে নিবন্ধিত গাঁজার দোকান ২০ হাজারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে গাঁজাকে নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হবে। ফলে এটি চাষাবাদের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে। আমরা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিল্পের জন্য গাঁজা চাষ সমর্থন করব।
খসড়া আইনে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য ৬০ হাজার বাথ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গাঁজা বিক্রি ও বিজ্ঞাপন-বিপণনে জড়িতদের এক লাখ বাথ জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।