ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্মানাধীন সড়কে প্রাইম কোর্টের কাজ করার সময় বিটুমিনের বয়লার বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিকাপুর তালতলা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর রেজাউল ইসলাম(৩৩), জাহিদ হোসেন(৩৫), আবুল হোসেন(৪৫) এবং মোনাজাত আলী(৫৫) কে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বদরুজ্জামান(৩৫) ও নাজমুল কবীর(২২) কে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত শ্রমিকরা কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর, রহিমপুর, গনপতি,পাইকাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রায় ১০২ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ্বালানো বিটুমিনের সাথে ডিজেলের মিশ্রনকালে আকস্মিক এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তবে আহত শ্রমিকদের দাবি ডিজেলের পরিবর্তে দোকানদারের ভুলবশত পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। যারপ্রেক্ষিতে প্রচন্ড তাপমাত্রায় জ্বালানো বিটুমিন প্রেট্রোলের সংস্পর্শে আসতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এসব শ্রমিক আহমদ ট্রেডার্স নামীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কালিকাপুর তালতলা থেকে খেয়াঘাট সংযোগ সড়কের কার্পেটিং এর কাজে নিয়োজিত ছিল।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বদরুজ্জামান জানান নির্মানাধীন সড়কে প্রাইম কোর্টের কাজের জন্য শ্রমিকরা শুরুতে বয়লারে বিটুমিন জ্বালায়। একপর্যায়ে তপ্ত বিটুমিনের সাথে ডিজেল ভেবে পেট্রোল মিশ্রনের চেষ্টা করতেই মুহুর্তের প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। শ্রমিকরা সম্মিলিতভাবে জলন্ত বয়লারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এসময় সেখানে থাকা ১০ শ্রমিক আহত হলেও ছয়জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিক নাজমুল জানান, প্রায় ১২ বছর এমন কাজে জড়িত হলেও প্রথমবার এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। তার দাবি মুল্য বেশী হলেও দোকানদার ভুলবশত ডিজেলের পরিবর্তে তাদের কাছে পেট্রোল সরবরাহ করায় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এছাড়া প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে জ্বালানো বিটুমিনের সাথে পেট্রোলের বিষয়টিও বয়লার বিস্ফোরণে ভুমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি দাবি করেন।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ নাজমুল মুনির জানান রেজাউলের শরীরের উপরিভাগের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া মোনাজাতের মুখ ও বুকসহ পেটের নিচে প্রায় ২৫ ভাগ পুড়েছে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের মধ্যে চারজনকে খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিক শংকামুক্ত বলেও তিনি জানান।