স্টাফ রিপোর্টার: চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে উঠিয়ে মৎস্য ঘেরে নিয়ে মারপিট ও পরে হ্যাচারীতে নিয়ে নির্মম অত্যাচারে আহত আমিনুর রহমান হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে।
থানায় দাখিলকৃত লিখিত এজাহারসূত্র ও বাদী বসুখালী গ্রামের আমিনুর রহমানের স্ত্রী জামেলা খাতুন জানান,তার স্বামী আমিনুরের চক খলিশানী মৌজায় বসুখালী বিলে দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের গাউছুল আজম রাজের মৎস্য ঘের সংলগ্ন ৫ বিঘা ডিডকৃত জমির মৎস্য ঘের আছে। এছাড়া পাশে আরিফ বিল্লার কাছ থেকে ডিড নেওয়া দেড় বিঘা জমির ঘের ছিল। ঘেরটি গাউছুল হোসেন রাজ তার ঘেরের সাথে মিশিয়ে নেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। রাজের ঘেরের মাছ কে বা কারা চুরি করেছে দাবী করে তার স্বামীকে সন্দেহ করে ৩ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে উঠিয়ে ঘেরে নিয়ে অভিযুক্তরা মারপিট করে। এদিন ১১.৩০ টার দিকে তাকে বিছমিল্লাহ হ্যাচারীতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন করা হয়। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করলে পুলিশ অনুঃ ৩.৩০ টার দিকে তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বিল্লাল হোসেন জানান,চেয়ারম্যান সাহেবের মোবাইল পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গাউছুল হোসেন রাজের লোকজন আমিরুলকে তাড়িয়ে নকাটিতে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলাম,তখন তৌহিদ বাঁশ দিয়ে বাড়ি মেরে আটকায় এবং রাকিবুল ও মেহদী তার সাথে যোগদিয়ে মারপিট করে। এবং মোটর সাইকেলে নিয়ে চলে যায়। শোভনালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর জিয়াউর রহমান জানান,আমিনুরকে রাজ সাহেবের হ্যাচারীতে ধরে নিয়েগেছে খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। আমার সামনে রাজ সাহেব ও তার লোকজন আমিনুরের হাত-পা বেধে উপুড় করে শোয়ায়ে বেদম মারপুট করতে থাকে। আমি আমার দলীয় পরিচয় দিয়ে না মারতে অনুরোধ করলে অসৌজন্য আচরণ করে হ্যাচারী থেকে বের করে দিতে কর্মচারীদের আদেশ করেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত এজাহার জমা দিলে পুলিশ ৩.৩০ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করেন।
জামিলা খাতুন অভিযোগ করেন,আমার স্বামীকে নির্মম মারপিটের পর পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অভিযোগ মীমাংসা করা হয়। তারপরও তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কাহিনী প্রচার করে অপদস্ত করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে গাউছুল হোসেন রাজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তিনি আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আমিনুরের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে।