এমডি রায়হান সিদ্দিকী :
আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস মাহে রমাদান। বিশ্বে অধিকাংশ মুসলিম দেশে রমাদান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যর ওপর ছাড় দেওয়া হয়। বছরের ১১ মাস ব্যবসা করলেও রমাদানে তারা সংযমের মাস হিসাবে পণ্যর ছাড় দেওয়া হয় যাহাতে রোজাদারদের কষ্ট না হয়।কিন্তু তার ব্যতিক্রম চলে ৯৫%মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে।বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারাবছরের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা লাভের আশায় রমাদান মাসে পণ্যর দাম বাড়িয়ে ব্যবসা করে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রমাদান মাসে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোগান্তিতে পড়তে নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন যাপনে নেমে আসে দুর্বাশাহ।
রমাদানের প্রথম শুক্রবারে সাতক্ষীরা বজার ঘুরে দেখা যায় রমাদান শুরু হওয়ার আগে গত সপ্তাহে সবজির দাম ছিল ফুলকপি কেজি প্রতি ২০ টাকা, বর্তমান ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা,বর্তমান ৩০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, বর্তমান ৪০ টাকা, ওলকপি ২০ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, বর্তমান ১০ টাকা, লালশাক আটি ৫ টাকা, বর্তমান ৬ টাকা, কলা ৩০ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা, মেটেআলু ৪০ টাকা, বর্তমান ৬৫ টাকা , বরবটি ১৫ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা, বর্তমান ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, বর্তমান ৩৩ টাকা, কাঁচা ঝাল ৬০ টাকা,বর্তমান ৭০ টাকা, টমোটো ৩০ টাকা, বর্তমান ৩৫ টাকা, লালবিট ২০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, বর্তমান ২৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা পটল ১৫০ টাকা, লেবু ৫ টাকা বর্তমান ১০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, বর্তমান ৭০ টাকা,সচিনা ডাটা ২০০ টাকায় বিক্রি বিক্রি হচ্ছে।
একধরনের অসাধু সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের একমাত্র ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বৃদ্ধি করে চলেছে দীর্ঘদিন যাবত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ২০০ টাকা, বর্তমান ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । সোনালী গত সপ্তাহে ২৭০ টাকা বর্তমান ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অনেক জায়গায় গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ টাকা বিক্রি হলে সাতক্ষীরা বাজারে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে রমাদান শুরু হওয়ার আগে গত সপ্তাহে দাম ছিল তেলাপিয়া কেজি প্রতি ৮০ টাকা, বর্তমান ১২০ টাকা, নাইলেটিকা গত সপ্তাহে ১১০ টাকা,বর্তমান ১৪০ টাকা, কই গত সপ্তাহে ২২০ টাকা, বর্তমান ২৫০ টাকা, রুই ২৩০ টাকা, বর্তমান ২৪০ টাকা,পাঙ্গাস গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা, বর্তমান ১৪০ টাকা, সিলভার গত সপ্তাহে ১২০ টাকা,বর্তমান ১৫০টাকা, পুটি গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা,বর্তমান ১৮০ টাকা, পারশে গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা,বর্তমান ৪৫০ টাকা, ভেটকি ৬০০ টাকা,বর্তমান ৬৮০ টাকা, ভাঙ্গান ৫৭০ টাকা, বর্তমান ৫৫০ টাকা, পায়রা ৫০০ টাকা, ছাটি ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৩০০ টাকা, পাবদা ২৫০ টাকা, বতল ২০০ টাকা, হরিনা চিংড়ী ৫০০টাকা, বর্তমান ৫৫০ টাকা, মিরগেল ১৪০ টাকায় দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে গত সপ্তাহে চাল সর্বনিম্ম আটাশ ৫৮ টাকা,বর্তমান ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ মিনিকেট ৫৯ টাকা, বর্তমান ৬৫ টাকা, মুশুরি ডাল মোটা কেজি প্রতি গত সপ্তাহে ১১০ টাকা, বর্তমান ১১০ টাকা, চিকন ১৪০ টাকা, বর্তমান ১৪০ টাকা, বুট ডাল ৬৮ টাকা, বর্তমান ৭৫ টাকা, মুগ ডাল চিকন ১৬০ টাকা, বর্তমান ১৬৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল ভালোটা গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ১৬৫ টাকা, বর্তমান ১৬৫ টাকা, নরমাল ১৪০ টাকা, বর্তমান ১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরিষা তেল কেজি প্রতি ২০০ টাকায় বর্তমান ১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মসলা জাতীয় খাদ্যর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে পেয়াজ গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০০ টাকা, বর্তমান ৭০ টাকা, , নতুন রসুন ১৩০ টাকা, বর্তমান ১২০ টাকা, আদা ১৮০ টাকা, বর্তমান ১৯০ টাকা, শুকনা ঝাল গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা বর্তমান ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলের দাম রমাদান শুরু হওয়ার আগে আপেল দাম ছিল ২০০থেকে ২৮০ টাকা, বর্তমান ২৫০- ৩৫০ টাকা আঙ্গুর ২৫০ টাকা , বর্তমান ২৮০ টাকা আঙ্গুর কালো ৩৮০ টাকা , বর্তমান ৪৫০ টাকা খেজুর, ২০০ টাকা থেকে ৬০০,৭০০ ১০০, ১২০০ টাকা, কলা, ৫০ টাকা বর্তমান ৮০ টাকা, কমলা লেবু ২২০থেকে ২৫০ টাকা, বর্তমান ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা , বেদানা ২৮০ টাকা, বর্তমান ৩৫০ টাকা, তরমুজ ৬০ টাকা, বর্তমান ৭০থেকে ৮০ টাকা আনারস ৭০ টাকা জোড়া, পেয়ারা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা ফজল শাহাবুদ্দীন জানান,দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতিত নিম্ন আয়ের মানুষ খুবই বিপাকে পড়েছে। তার ভিতর রমাদান উপলক্ষে সকল পণ্যর দাম বৃদ্ধি করেছে অসাধু সিন্ডিকেটরা। উর্দ্ধগতির বাজারে লোকাল সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে। সঠিক মনিটরিং যদি থাকত নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হত না।
অসংখ্যক সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গিয়েও তাগিদে রমাদানে কিনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা দিয়ে দ্রব্যমূল্য।সঠিক বাজার মনিটরের অভাবে এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চলছে মানুষরুপী জানোয়াররা। ভোক্তা অধিকার তৎপরতা বাড়ালে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে রমাদানের বাজারদর এটাই প্রত্যাশা অসং্যক সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের।