ডেস্ক রিপোর্ট:
স্কেচ এঁকে চাঞ্চল্যকর উম্মে সালমা লামিয়া (৭) হত্যাকারী সন্দেহভাজন দুই যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে ফেনীর পরশুরাম থানার পুলিশ। চারুকলা বিভাগ থেকে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে শুক্রবার স্কেচ করানো হয়েছে। আঁকা স্কেচ এরই মধ্যে দেশের সব থানায় পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে লামিয়ার হাত-মুখ-পা কসটেপ দিয়ে বেঁধে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পাশের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনার পর থেকে নিহা পুলিশকে জানিয়ে আসছেন লামিয়াকে দুই যুবক হত্যা করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে তিনি পরশুরামে দেখেছেন।
ছোটবোনকে হত্যায় জড়িত দুই যুবকের বিবরণ শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে স্কেচ করানো হয়।
অন্যদিকে ফেনীর পরশুরামের বাঁশপদুযা গ্রামের লামিয়া হত্যার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার মূল রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসাবে লামিয়ার মা আয়েশা আক্তার জেলে রয়েছেন।
ঘটনার সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া লামিয়ার বড় বোন এবং একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিহার দেওয়া তথ্যে হত্যাকারী দুই যুবকও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
হত্যা ঘটনায় পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে লামিয়ার মা আয়েশা আক্তারকে পুলিশ দুই দফা পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠালে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। লামিয়াকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত মা আয়েশা ফেনী কারাগারেই আছেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসাইন খান বলেন, ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিহার কাছ থেকে বিবরণ শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে স্কেচ করানো হয়েছে। আঁকা স্কেচ এরই মধ্যে দেশের সব থানায় পাঠানো হয়েছে।