আশাশুনি অফিস।। আশাশুনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল,নির্যাতন,ত্রাস সৃষ্টির প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে আশাশুনি জনতা ব্যাংকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মনববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগি ও জমির মালিক অবঃ শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ রায়,শিব নাথ সরকার,গঙ্গা দাশী,মনোরঞ্জন সরকার, ব্রজেন্দ্র নাথ রায়। বক্তাগণ বলেন আমরা শব্দলপুর মৌজায় সাবেক ১/১ খতিয়ানে ১.০০ জমি ডিসিআর নিয়ে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ১৬ বিঘা জমির সাথে দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবৎ ভোগদখল ও মৎস্য চাষ করে আসছিলাম। ভ্রমাত্মকভাবে ১/১ খতিয়ানের জমি ১ নং খতিয়ানভুক্ত হয়। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার গোপন ও মিথ্যা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে উক্ত জমি (৫৫৫ ও ৫৫৭ দাগে ৬৪ শতক ও ৬৪৬ দাগে ৩৯ শতক) গোপনে গোপনে দখলে না থাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নূরে আলম সরোয়ার লিটন ও নাইম সরফরাজকে ডিসিআর প্রদান করা হয়। জানতে পেরে আমরা অতিঃ জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) দপ্তরে মিস কেচ আপিল ১৪/২০২৫ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ২৫/২/২৫ তাং ডিসিআর এর কার্যকারিতা স্থগিত করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত (১২ মার্চ) সকাল ৮.৩০ টার সময় উক্ত লিটন ও নাইমের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন লাঠি শোটা নিয়ে জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে স্থগিত হওয়া ডিসিআর এর ১.০০ একর জমির সাথে সাথে আমাদের রেকর্ডীয় ১৬ বিঘা জমির দুটি খন্ডের মৎস্য ঘের জবর দখল করে নেয়। বাধা দিতে গেলে তাদের বেদম মারপিটে বিশ্বজিত সরকার,তার স্ত্রী শিখারানী,শিব নাথ,রণজিত গুরুতর আহত হয়। আক্রমনকারীদের হুমকী ধামকী ও ভয়ে পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। এমনকি আহতরা চিকিৎসা নিতে বাড়ি থেকে বাইরে যেতে সাহস পায়নি। বক্তাগণ বলেন, দখলকারীরা আইনকে তুয়াক্কা না করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। হিন্দুদেরকে নির্যাতনের সাথে সাথে তারা ঘেরের মাছ লুটপাট করে নিচ্ছে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে নিরাপত্তার দাবী জানাচ্ছি এবং আমাদের রেকর্ডীয় জমি ও ৪৫ বছরের ভোগদখলীয় জমির ডিসিআর পেতে আকুতি জানাচ্ছি। আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। শান্তিতে থাকতে চাই।