স্পোটর্স ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়ার বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের নারীদের শিরোপা নতুন কিছু নয়। গত মাসে সাফ অ-১৯ টুর্নামেন্টে যুগ্ম শিরোপার পর এবার সাফ অ-১৬ টুর্নামেন্টে একক শিরোপা। টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নের উল্লাস করছে।
এই উল্লাস মাস খানেক আগেও করেছিলেন অ-১৯ দল। সেই দলেরও কোচ ছিলেন সাইফুল বারী টিটু। তবে আজ অ-১৬ শিরোপার স্বাদ একটু ভিন্ন হিসেবে মন্তব্য করলেন তিনি, ‘এবারের আনন্দ অন্য রকম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন।’
অ-১৯ দল বাফুফেতেই ক্যাম্প করছিল দীর্ঘ সময় ধরে। সেই তুলনায় অ-১৬ দল গঠন হয়েছে কয়েক মাসের মধ্যে। বিকেএসপি ও বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের একাডেমিও রয়েছে এই দলে। সবার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে খেলানোই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই চ্যালেঞ্জ উতরে গেলেও খেলোয়াড় ও ফেডারেশনকে মূল কৃতিত্ব দিলেন টিটু।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টিটু বলেন, ‘খেলোয়াড়রা দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। আমার বিন্দুমাত্র অবদান নেই। কোচিং স্টাফও অনেক পরিশ্রম করেছে তাদের অবদান রয়েছে। পাশাপাশি সভাপতি সালাউদ্দিন ভাই ও নারী উইংয়ের প্রধান কিরণ আপাকে ধন্যবাদ তারা নারী ফুটবলে সুবিধা অব্যাহত রেখেছেন। আশা করি সামনেও তাই থাকবে।’
টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের সুরভী আকন্দ প্রীতি। তার চেয়ে এক গোল বেশি করে ভারতের আনুষ্কা সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন। একটি পুরস্কার পেলেও আরেকটি পুরস্কার অল্পের জন্য মিস হওয়ায় আফসোস নেই তার, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটাই আসল। আমরা দুই মাস অনেক কষ্ট করেছি। আল্লাহ আমাদের সেই কষ্টের ফল দিয়েছেন।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে গোলরক্ষক ইয়ারজানকে অবদান দিলেন বিশেষভাবে, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল ইয়ারজান ভালো করবে। সে সেভ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’
টুর্নামেন্ট সেরা প্রীতির লক্ষ্য ভবিষ্যত সাবিনা হওয়া, ‘আমি বড় ফুটবলার হতে চাই। বিশেষ করে সাবিনা আপুর মতো খেলতে চাই।’ বাংলাদেশ অ-১৬ দলের অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস ট্রফি স্পর্শ করেছেন সবার আগে। তখন থেকেই তার ইচ্ছে ছিল ট্রফি দেশে নিয়ে যাওয়ার। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় বেশ খুশি অধিনায়ক, ‘দলের সবার আগে আমি সবার আগে ট্রফি স্পর্শ করেছিলাম। ভারতের অধিনায়কও করেছিল। স্পর্শ করেই ইচ্ছে ছিল, ট্রফি দেশে নিয়ে যাব। এখন ট্রফি নিয়ে যাচ্ছি। আমি সার্থক।’