বিনোদন ডেস্ক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলকে নিয়ে প্যানেল গঠন করতে চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। এই প্যানেলে অনন্ত জলিলকে সভাপতি করে সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু নিপুণের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা। জানিয়েছেন, শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার তাকে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলেও সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘ব্যবসা সামলাতে হয়। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই। যাদের হাতে সিনেমা নেই, তারাই নির্বাচন করে।’
অনন্ত জলিল জানান, আসন্ন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সামছুল আলম, প্রযোজক ইকবাল, চিত্রনায়িকা নিপুণসহ হোটেল ওয়েস্টিনে বসেছিলেন। তার আগে সবাই মিলে সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য অনন্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারা জরুরি কথা আছে বলে অনন্তের বাসায় যেতে চান। কিন্তু অনন্তের কাজ থাকায় তাদের হোটেল ওয়েস্টিনে বসতে বলেন। সেখানে নিপুণ, খসরু, সামছুল উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণের প্যানেলে অনন্তকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল নিপুণকে না করে দিয়েছেন।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘নির্বাচন করলেও হয়তো ভালো হতো, কিন্তু আমার সমস্যা হলো সময়। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সবার বিপদে পাশে আমি থাকব। কিন্তু নির্বাচন করার মতো সময় আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে ব্যবসায় সময় দিতে হয় প্রচুর। তার মধ্যেই সময় বের করে শুটিং করি সিনেমার। কিন্তু নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। কারণ সময় না দিলে কোনো ক্ষেত্রেই সফল হওয়া সম্ভব না। সে কারণে আমি বিনীতভাবে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছি। আমি তাদের বলেছি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, এখানকার মানুষদের ভালোবাসি। আমি সিনেমাপ্রেমী মানুষ হিসেবে আজীবন চেষ্টা করব সিনেমা ও এই সেক্টরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে।’
অনন্ত জলিল আরও জানান, শুধু শিল্পী সমিতি না, ব্যবসায়িক সংগঠন বিজিএমই থেকেও তার নমিনেশন কিনেছিলেন কয়েকজন। কিন্তু সেখানেও বলেছেন ওই নির্বাচন করবেন না। বলেন, যেই নির্বাচনই করি না কেন, সেখানে সার্বক্ষণিক সময় দিতে হবে। আর সেই সময়টা আমার কাছে নেই।
সম্প্রতি যমুনা ফিচার পার্কে একটি শো রুমের ওপেনিংয়ে এসে এসব কথা বলেন অনন্ত জলিল। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যে ক্ষমতাটা আসে সেই ক্ষমতায় দাঁড়িপাল্লার চেয়ে অপব্যবহারটা বেশি করা হয়, এ কারণে নির্বাচনে অনেকেই সমালোচিত হয় বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন এপ্রিলের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্যানেল প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রস্তুত হলেও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তারের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।