নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় করন প্রসঙ্গে একযোগে ৬৪ জেলায় স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় সাতক্ষীরা জেলার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমন্বয় কমিটির পক্ষে থেকে স্মারকলিপি লিপি প্রদান করা হয়। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমন্বয়ক মো.আক্তারুজ্জামান আক্তার, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক কমিটি সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী, মো. আব্দুল খালেক, মাওলানা আবু মুসা, বাটরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মো.সাইফুদ্দীন, চিনেডাঙ্গা ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মো. সুলাইমান, সহকারী শিক্ষক মনিরা খাতুন, আ: অদুদ, বিল্লাল হুসাইন, মিজানুর, সাব্বির, রফিকুল, জালাল, বাদশা, মুস্তাফিজুর রহমান সহ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে দাবিসমূহ- (১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক স্ট্যাডি রিপোর্টের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাসমূহ জাতীয় করণ করতে হবে। (২) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতাদি/অনুদান সংক্রা নীতিমালা-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের ঘোষণা দিতে হবে। (৩) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে। (৪) রেজিট্রেশন প্রাপ্ত কোড বিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভুক্তকরণ করতে হবে। (৫) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় ১ জন অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টি করা। (৬) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকল সুযোগ সুবিধাসহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী খোলার অনুমোদন করে তদস্থলে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ।
আরো জানায়, ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষা তার সৃষ্টির শুরু থেকে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবহেলার শিকার হয়ে আজ মারাত্মকভাবে বঞ্চিত, উপেক্ষিত এবং অভিভাবকহীন। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় অনুদানভূক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসার সখ্যা ১৫১৯ টি, কোডভুক্ত মাদরাসা প্রায় ৮ হাজার, কিন্তু এ সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে জাতীয়করণ সহ উল্লেখযোগ্য দাবী বাস্তবায়ন না হলে ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ঢাকায় লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়ে মহাসমাবেশ করে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।