তালা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমানের ঘুষ বাণিজ্য, দূর্নীতি এবং সিমাহীন অনিয়ম সহ খামখেয়ালীপনা আচরনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঠিকাদাররা। হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে না পারায় কাজের বিল উত্তলোন করতে পারছেনা ঠিকাদাররা। একারনে অধিকাংশ ঠিকাদার অর্থ সংকটে পড়ায় চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি চাহিদামতো হচ্ছেনা। এরফলে একদিকে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ধীর গতীতে এগুচ্ছে অপরদিকে কাজ পড়ে থাকায় নির্মানাধিন কাজের গুনগত মান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরফলে ঠিকাদাররা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকায় ঘটনার প্রতিকার পেতে হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদার জানান, তালা উপজেলা এলজিইডির হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান প্রায় ৩ বছর পূর্বে এই দপ্তরে সহকারি হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের হয়রানী করা সহ দূর্নীতি ও অনিয়মের সিমাহীন অভিযোগ ওঠে এবং এবিষয়ে গণমাধ্যমে ব্যপক ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এঘটনায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত পূর্বক তাকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করেন। এঘটনার ৩বছর পরে হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন মহলে তদ্বির করে আবারও চলতি বছরে তালায় বদলি হয়ে আসেন। তালায় ফের যোগদান করেই তিনি আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঠিকাদারদের হয়রানী এবং ঘুষ বানিজ্য সহ দূর্নীতির কারনে আবারও বেকায়দায় পড়েছে তালার ঠিকাদাররা। যে কারনে বাধ্য হয়ে অন্তত ১০ দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন একাধিক ঠিকাদার।
অভিযোগ পত্রে ঠিকাদাররা উল্লেখ করেন, তালা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী দপ্তরের কোনো কার্যাদেশ নিতে গেলে, কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এবং বিল নিতে গেলে অর্থের জন্য ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি করেন হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান। কাজের বিল নেবার সময়ে ঘুষ না দিলে তিনি কৌশলে একের পরে এক ভুল ধরে ঘুষ আদায় করেন। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের কোনো বিল নিতে গেলেও অনুরুপ ঘুষ দাবী করেন। ঘুষ নাদিলেই বিল আটকানো সহ নানা ভাবে হয়রানী করা হয় ঠিকাদারদের।
এবিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালেও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনও ব্যবস্থা নেননি। ফলে বহুগুনে বেড়ে গেছে হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমানের ঘুষ বানিজ্য। একারনে ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা প্রতিকার পাবার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের হিসাব রক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হয়রানী করার জন্য ঠিকাদারদের একটি মহল ষড়যন্ত্র করছেন। তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান, কয়েকজন ঠিকাদারের স্বাক্ষরিত একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।