সাতক্ষীরা রাত ১২:০১ সোমবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
    1. অর্থনীতি
    2. আইসিটি
    3. আন্তর্জাতিক
    4. আশাশুনি
    5. উপকূল
    6. কলারোয়া
    7. কালিগঞ্জ
    8. খুলনা
    9. খেলার খবর
    10. জাতীয়
    11. জেলার খবর
    12. জ্বালানি
    13. তালা
    14. দেবহাটা
    15. পাইকগাছা

    চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

    Editor
    ডিসেম্বর ৯, ২০২৪ ১১:২৫ অপরাহ্ণ
    Link Copied!

    ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নিতীবাজ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের ও প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী ৫শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কলারোয়া উপজেলাধীন চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।

    রোবাবার (৮ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।

    স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা কলারোয়া উপজেলাধীন চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আর বিদ্যালয়টি ১৯৫৯ খ্রিঃ সালে প্রতিষ্ঠিত হইয়া সুনামের সাথেই পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আনছার আলী ২০১৪ সালে নিয়েগের পর ইতেই অদ্যবধি একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে আসিতেছেন। বিদ্যালয়টির দোকানভাড়া, দোকান বরাদ্ধ, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেশনচার্জের টাকা সহ বিভিন্ন খাত হতে গত ১০(দশ) বছরে আনুমানিক প্রায় ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন। বিগত সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতার বলায়কে ব্যবহার করে তিনি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটান। বিদ্যালয়ের এক নাবালিকা ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পক গড়ে তোলেন এবং ২০১৮সালে নকল কাবিননামা ও পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে আরো একটি কাবিননামা করে বিবাহ করেন। নির্যাতনের কারণে বিবাহ না টেকায় চাকুরীজীবি ঐ মেয়েকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানী করতে থাকেন। ফলে হাত্রীপক্ষ বাধ্যহয়েই তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানেও চলমান। উক্ত মামলার পিবিআই রিপোট প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর বিরুদ্ধে। ২০২২ইং সালে বিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের নামে মিথ্যা মামলা দয়ের করেন যা ইতোমধ্যেই খারিজ হয়ে গেছে। বর্তমানেও নিজের মনগড়া একটি কাহিনী সাজিয়ে সেই দুই শিক্ষক সহ ৫(পাঁচ) জন শিক্ষকের নামে ২৫/১১/২০২৪ইং তরিখে আরো একটি মিথা মামলা দয়ের করেন। তার অসহিষ্ণু আচারণের কারণে বিদ্যালয়ের ২৪জন শিক্ষক কর্মচারীর অধিকাংশই তার বিরুদ্ধে। তিনি যতক্ষণ বিদ্যালয়ে অবস্থান করেন ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারী সবাই চরম আতংকে থাকেন। এমতাবস্থায়, বিগত নিয়োমিত ম্যানেজিং কমিটি বিষয় বিবেচনা করে ২৩/০৬/২০২৪ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক আনঢ়অর আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং যশোর বোর্ডের আপিল এন্ড আরিবিটিশন শাখায় উপস্থাপনের আবেদন করেন যা বর্তমানেও চলমান। সাময়িক বরখাস্থকালে বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২৩/০৬/২০২৪ইং তারিখের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ২(দুই) দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেই আশে পাশে সহ বিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ঝামেলাই যুক্ত হন ফলে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার পরিবেশ সহ সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মামলা ছাড়াও বর্তমানে তিনি কয়েকটি মামলা পরিচালনা করছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন মামলাবাজ শিক্ষক। আমরা অভিভাবকবৃন্দ সার্বক্ষণিক সন্তানদের নিয়ে বিভিন্নমুখী আশঙ্খায় থাকি। আপনার মাধ্যমে পুরা বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে এক্ষণে শিক্ষকবৃন্দের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিদ্যালয়ের লোপাটকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের ফান্ডে ফেরত আনা সহ অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী এই প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার আলীর যথাযথ শান্তি ও পদত্যাগ চাই।

    অতএব, মহোদয়ের নিকট আমাদের আকুল আবেদন উপরিউক্ত বিষয়াদি বিবেচনা পূর্বক, এক্ষেণে যাহাতে শিক্ষকদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়, তদন্তপূর্বক অর্থনৈতিক হিসাব বুঝিয়া অর্থ বিদ্যালয়ের ফান্ডে ফেরত আসে এবং অনৈতিক চারিত্রের অধিকারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থপিপাষু এ প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করেন ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন তাহার যথাযথ ব্যবস্থা দানে আপনার মর্জি হয়।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।