সাতক্ষীরা সকাল ৬:০৫ শনিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
    1. অর্থনীতি
    2. আইসিটি
    3. আন্তর্জাতিক
    4. আশাশুনি
    5. উপকূল
    6. কলারোয়া
    7. কালিগঞ্জ
    8. খুলনা
    9. খেলার খবর
    10. জাতীয়
    11. জেলার খবর
    12. জ্বালানি
    13. তালা
    14. দেবহাটা
    15. পাইকগাছা
    https://shoyaibenterprise.com/
    আজকের সর্বশেষ সবখবর

    সরকার পতনের পর মরিয়া বিশৃঙ্খলাকারীরা, ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নলতার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদের পায়তারা

    mir khairul alam
    নভেম্বর ৯, ২০২৪ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
    Link Copied!

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিকল্পিত ভাবে ৬ আগস্ট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাট, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাতে খাস জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে মসজিদ, নেপথ্যে ডা. আবু হাসান, বাচ্চু, রুবেল, আল-আমিন সহ অজ্ঞাত কয়েকজন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ধ্বংশ না করে এবাদতখানা প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের।

     সরকার পতনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরার নলতায় অবস্থিত এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ করতে ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে মাঠে নেমেছে একটি ক‚-চক্রিয় মহল। কালিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ধ্বংশ না করে এবাদতখানা প্রতিষ্ঠা করতে এবং হুমকি ও অপপ্রচার থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে।


    ভূক্তভোগীরা জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (এম.জে.এফ) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০০৮ সাল থেকে বাড়ি ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপশি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট নলতা চৌমহনীতে সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমান পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসানের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাইনউদ্দীন হাসানের সহযোগিতায় ও যুগ্ম-সচিব সুলতান মাহমুদের পরিদর্শন পরবর্তী মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞানের মাধ্যমে স্বীকৃতি লাভ করে। যার স্মারক নং-৪১.০০.০০০০.০৫৪.৩৩.০৩৩.১২-১৪৫। এরপর ২০১৯ সালে নলতা জিয়ার খালেরচর বিআরএস ১৫১ দাগের ২০ শতক জমিতে বিদ্যালয়টি তৎকালীন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় স্থানান্তরীত হয়। যা ওই স্থানে যথা নিয়মে দীর্ঘ ৫ বছর ওই জায়গায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পরে কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলীর সহযোগিতা ও নির্দেশনায় স্থানীয় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শমিষ্ঠা ছবি সহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই সাথে স্কুলের নামে জমি বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইউএনও জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার নিকট প্রেরণ করেন। এরপর থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাসে সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬ আগস্ট সকালে স্থানীয় আল-আমিন, রুবেল, বাচ্চু, ডা. আবু হাসান এর পরিকল্পনায় বেশকিছু বহিরাগত লোক ভাড়া করে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ধ্বংসযোগ্য ও লুটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের হস্তক্ষেপে স্কুলের পরিচালকের বাড়ি বিশৃঙ্খলাকারীদের অগ্নিসংযোগ থেকে বেঁচে যায়। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সচিত্র খবর প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয় সংস্কার করতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে। সে সময়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় উপায় না পেয়ে গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সহযোগীতা কামনা করেন। পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সাথে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদানকারীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে যাতে বিদ্যালয় সংস্কার করা যায় সেই নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দলে ভারি করতে থাকে। পরবর্তীতে সংস্কার করতে গেলে বাঁধা প্রদান করেন উল্লেখিত ওই ব্যক্তিরা। এরপর সেনা সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ডা. আবু হাসানের নেতৃত্বে স্কুলের লগোয়া পাঞ্জেগানা মসজিদের নির্ধারিত স্থান নামের একটি ব্যানার টানানো হয়। সেই সাথে বিদ্যালয়ের গা ঘেষে পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মানের কাজ শুরু করে। তারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে ধর্মীয় অনুভুতি আকৃষ্ট করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে দৈনিক যশোর বার্তা ও দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মানহানীকর সংবাদ প্রকাশ করা করিছে। যা বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা ছাড়া আর কিছু না।

    আরো জানান, মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (এম.জে.এফ) ২০০৩ সাল থেকে সাতক্ষীরা অঞ্চলের প্রতিবন্ধী ও বন্যদূর্গত মানুষের কল্যাণে দেশী-বিদেশী ও সরকারের উন্নয়নমূখী অংশীদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালে করনাকালীন সময়ে এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ ৪২৭ জনকে প্যেনিঅ্যাপেল ও ইউনাইটেড পারপাস ইউকে এর আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান আজিজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতি পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে ৫০০০ টাকা করে ঈদ উপহার প্রদান করে। করনাকালীন সময়ে সিডিডি’র মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ৬১ জন ছাত্র-ছাত্রীর পরিবারকে বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেকে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সেই সাথে অধ্যাপক ডা. এস এম আব্দুল ওহাব এর মাধ্যমে অধ্যাপক ডা. এসএ মালেক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রুহুল আমিন, হকি খেলোয়ার রানা, নূরুন্নবী আলী সহ দেশি-বিদেশী অনেক ব্যক্তির আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ বিনা বেতনে ১৫৬ জন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা প্রদান করে আসছেন। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ এমএফ’র পরিচালক ও তার পরিবার এবং বিদ্যালয়ের স্টাফদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে চলেছে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাঘুরালী গ্রামের হাফিজুল, আবু বকর পরিচালকের বড় পুত্র আবু রায়হানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একই সাথে ওই এলাকার জন্য একটি এবাদতখানা প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানের কারোর বিরোধীতা নেই। তবে সেটি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ধ্বংস করে নয়। চলমান এই ভুলবোঝাবুঝি ও হুমকির বিষয়ে সামজের বিবেকবান ব্যক্তি ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।