স্পোর্টস ডেস্ক: তামিম ইকবাল ফুরিয়ে গেছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তো চলেই না। বাকি দুই ফরম্যাটেও তামিম এখন অটো চয়েজ নন। ৩৫ ছুঁইছুঁই তামিমকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। নানা নাটকীয়তার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবশেষ আসর থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন। তামিম কি আসলেই ফুরিয়ে গেছেন?
টি-টোয়েন্টিতে বুড়োরা নাকি চলে না। ফরচুন বরিশালকে ফাইনালে তুলে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা বুঝিয়ে দিলেন; এমন ধারণা কেবল অমূলকই নয়, রীতিমত ভুল।
বরিশালকে ফাইনালে তোলার পথে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তার নামটি তামিম ইকবাল। শুধু দুর্দান্ত অধিনায়কত্বই নয়, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও সেই তামিমই।
১৫ ম্যাচে ৩ ফিফটিসহ এবারের আসরে প্রায় পাঁচশর কাছাকাছি রান (৪৯২) করেছেন তামিম। গড় ৩৫.১৪, স্ট্রাইকরেট ১২৭.১৩। কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, বোঝাই যাচ্ছে কতটা ধারাবাহিক ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিমের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে তাওহিদ হৃদয়ের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ব্যাটার ১৪ ম্যাচে করেছেন ৪৬২। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে তার উইলো থেকে এসেছে দুটি হাফসেঞ্চুরি। গড় ৩৮.৫০, স্ট্রাইকরেট ১৪৯.৫১।
কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস আছেন তৃতীয় অবস্থানে। ১৪ ম্যাচে ৩ ফিফটিসহ তিনি করেছেন ৩৯১ রান। গড় ২৭.৯২, স্ট্রাইকরেট ১৩০.৭৬।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ১২ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিসহ ৩৮৪ রান নিয়ে চার নম্বরে। পঞ্চম স্থানে থাকা মুশফিকুর রহিম ১৫ ম্যাচে করেছেন ৩৭১।
১. তামিম ইকবাল-১৫ ম্যাচে ৪৯২ রান।
২. তাওহিদ হৃদয়-১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান।
৩. লিটন দাস-১৪ ম্যাচে ৩৯১ রান।
৪. তানজিদ তামিম-১২ ম্যাচে ৩৮৪ রান।
৫. মুশফিকুর রহিম-১৫ ম্যাচে ৩৭১ রান।