বিনোদন ডেস্ক:: আবারও সেই নেপাল। আবারও সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম। ২ বছর পর দেখা গেল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিও। এবার বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে নেপালকে। নারী সাফে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল সাবিনা খাতুনের বাংলাদেশ।
ফাইনালের দেড় ঘণ্টা আগেই কাঠমান্ডুর রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে কানায় কানায় পূর্ণ। ‘নেপাল’, ‘নেপাল’ স্লোগান যেমন দিচ্ছিলেন, তেমনি অনেকের হাতেও দেখা যায় নেপালের পতাকা। রঙ্গশালায় উৎসব মুখর পরিবেশে ২ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালি গোলরক্ষক অঞ্জিলার ভুলের সুযোগে শটও নেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। তবে তহুরার শট বারবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
ম্যাচের শুরু থেকেই শেষ সময় পর্যন্ত চলে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা। ১০ মিনিটে নেপালের আমিশা কার্কির শট পোস্টে লেগে ফেরত চলে এলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ২৪ মিনিটে মাসুরার দূর থেকে নেওয়া শট খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি নেপালের। পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রূপনা চাকমার গোল ভুল করলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি নেপাল। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পর অল্প সময়ের মধ্যেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণভাগ ভেদ করে বাংলাদেশকে ৫২ মিনিটে এগিয় দেন মনিকা চাকমা। সমতায় ফিরতে নেপালের লেগেছে কেবল ৩ মিনিট। ৫৫ মিনিটে প্রীতি রাইয়ের অসাধারণ এক থ্রু পাস ধরে সমতাসূচক গোল করেন নেপালি ফরোয়ার্ড আমিশা। দুই দলই এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে সুযোগগুলো কেউ লুফে নিতে পারেনি। নেপালের ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারি একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মাঝে ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রি কিক নেন মারিয়া মান্দা। মারিয়ার শট বাঁ দিকে উড়ে সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন নেপালের গোলরক্ষক আঞ্জিলা। কিন্তু ৮০তম মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। কর্নার থেকে বাঁকানো শটে বাংলাদেশের স্কোরলাইন ২–১ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। অতিরিক্ত সময়ে ৫ মিনিট গড়ালেও পরবর্তীতে আর কোনো গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে নেপাল হ্যান্ডবলের আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি রেফারি। শেষ বাঁশি বাজার পরই উৎসব শুরু বাংলাদেশের। শিরোপা ধরে রাখার আনন্দে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে রঙ্গশালায় ল্যাপ অব অনার দেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সাবিনার নেতৃত্বাধীন সেই দলের কোচ ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। দুই বছর পর এবার বাটলারের হাত ধরে দ্বিতীয় সাফ জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।